সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
আব্দুন নূর সজল।
কেমন আছেন?
ভালো আছি।
এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
নাটক নিয়েই ব্যস্ত। সম্প্রতি ‘প্রিয় কবিতা’ নামে একটি নাটকের কাজ শেষ করলাম। মাহতাব হোসেনের গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন সরদার রোকন। নাটকে আমার সঙ্গে আছেন সালহা খানম নাদিয়া।
‘হারজিত্’ সিনেমার কাজ শেষ হলো?
না, এখনো শেষ হয়নি। আশা করছি খুব বেশি সময় লাগবে না আর।
মুক্তি অপেক্ষায় রয়েছে আপনার অভিনীত ‘জ্বিন’ ছবিটি সম্পর্কে জানতে চাই?
এ ধরনের কাজ আমাদের এখানে হয়নি। আমার ছবি বলেই কিন্তু বলছি না, এটি একেবারেই নতুন প্যাটার্ণের। নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়েছি এই সিনেমায়। সিনেমার ডাবিং শেষ হয়েছে। পুরো কাজ করে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব সন্তুষ্ট। সিনেমাটি দেখার পর দর্শকরা কি বলবেন, সেটা শুনতে আমি সত্যিই ভীষণ এক্সাইটেড!
শুটিংয়ের এমন কোনো স্মৃতি আছে কী বলার মতো?
এ চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এখনই আমার মাথায় অনেক স্মৃতি চলে এসেছে। মাঝে আমরা মানিকগঞ্জের একটি পুরনো জমিদার বাড়িতে ছবির শুটিং করেছি। সেখানে ২শ’ বছরের একটি পুরনো নোংরা কুয়োয় নামতে হয়েছে। ময়লা-আবর্জনায় ভরা কুয়ায় শুটিং করার পর পুরো শরীরে ঘা হয়ে গিয়েছিল। এর আগে কোনো কাজে এত কষ্ট করিনি। ছবিটি দর্শক দেখলেই তা বুঝতে পারবেন। আশা করবো আমাকে যারা পছন্দ করেন, বাংলা সিনেমা পছন্দ করেন সবাই হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন।
শোনা যায় নাটকে যারা কাজ করেন তারা সিন্ডিকেটের মতো। আপনিও এমন কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গে আছেন কি–না?
আমি কোনো সিন্ডিকেটে নেই, এসব বুঝিও না। সিন্ডিকেট আছে কি-না সে বিষয়েও আমার সুস্পষ্ট ধারণা নেই। তবে হ্যাঁ, একজন ডিরেক্টর ও আর্টিস্টদের মধ্যে ভালো যোগাযোগ থাকতেই পারে। একজন শিল্পীর অন্য আর একজন শিল্পীকে ভালো লাগতেই পারে গল্প বা কাজের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে তারা একসঙ্গে কাজ করতেই পারে।
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০/এসএস